csb24.com::
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের ৪ হাজার ৮শ’ ইউনিয়ন পরিষদে একজন হিসাব রক্ষকসহ একজন সহকারী নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ভালো মন্ধ সব কাজই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় করে থাকে। তাই দেশের ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসকগণ তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন ।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভবনের চতুর্থ তলায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বৈঠক থেকে বের হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রায় ১৮ জন জেলার জেলা প্রশাসক জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ের নানান সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, জেলার সকল সরকারি-বেসরকারী জলাশয় খাল-বিল পুকুর খনন ও সংস্কারের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রকল্প প্রণয়নের জন্য পরাশর্ম দেয়া হয়েছে। কারণ বর্তমানে ভূগর্বস্থ পানির স্তর কোন জেলায় ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। তাই পুরানো সব জলাশয়, খাল-বিল, পুকুর খনন করে পানি সংরক্ষণ করা জরুরী হয়ে ওঠেছে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ভূমি করের যে ৫ শতাংশ আয় ইউনিয়ন পরিষদ পায় তা তিন পার্বত্য জেলায় পায় না বলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারেও সরকার বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার কথা চিন্তা করছে।
তিনি বলেন, গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের সাথে কোন আলোচনা হয়নি ।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের আরো জানান, দেশের ২৫০টি উপজেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থপানের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম, নদী ভাঙন কবলিত জেলার জেলা প্রশাসকরা ভাঙন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা বলেছেন বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিবছরই নদী ভাঙন দেখা দেয়, যাতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। এ সর্বগ্রাসী ভাঙনে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর, ফসলী জমি নদীগর্ভে বিহীন হয়ে যায়।
তাই জেলা প্রশাসকরা জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, নদী ভাঙন রোধ ও ভাঙন কবলিতদের পুনর্বাসনে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার একটি প্রকল্পের দাবি করেন ।
গত মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী ঢাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হয়।
পাঠকের মতামত